সফর আলী সড়কের সংস্কার কাজে নয় ছয়

হাটহাজারী প্রতিনিধি | মিডিয়া এক্সপ্রেস
প্রকাশিত : রবিবার, ২০২৩ সেপ্টেম্বর ১০, ০৬:১২ অপরাহ্ন

হাটহাজারী উপজেলায় রাস্তা নির্মাণকাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এতে বালির বদলে মাটি ব্যবহার করে খুবই নিম্নমানের কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আলিফ এন্টারপ্রাইজের নামে ওই প্রতিষ্ঠানের কাজটি করছেন ঠিকাদার ইয়াকুব।

উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় (এলজিইডি)সূত্রে জানা যায়, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের আওতায় উপজেলার মির্জাপুর  ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সফর আলী সড়কের আনিস প্যারারাল খাল থেকে গলাচিপা পর্যন্ত ১০৬৮ মিটার পিচ ঢালাই কাজ শুরু হয়েছে। কাজের বেশির ভাগ ভাল করলেও শেষ অংশের বেশ কিছু অংশে গিয়ে নয় ছয়ে পরিনত হয়েছে। রাস্তায় বালির বদলে পাহাড়ি মাটি ব্যবহার করে নির্মাণ কাজ চালালে স্থানীয়রা বাঁধা দেয়।পরে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী জয়শ্রী দে অনিয়নের সংবাদ পেয়ে দ্রুত কাজ বন্ধ করে দেয়।প্রায় তিনদিন পর রাস্তা থেকে মাটি সরিয়ে বালি দেয়ার পর কাজ শুরু করে। এ কাজের প্রাক্কলিত ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১কোটি ১৫লক্ষ ১৫ হাজার টাকা। কাজটি করছে মেসার্স আলিফ এন্টারপ্রাইজ।

স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্দ হয়ে প্রতিবেদকে জানান, রাস্তাতে প্রায়ই দীর্ঘ ১৫ বছর পর সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে।আমরা দীর্ঘ এত বছর অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে এই রাস্তাটি নিয়ে।হাজার হাজার জনগণ শত শত স্কুল কলেজ মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। বর্ষাকাল আসলেই দুর্ভোগ যেন আরো বেড়ে যাই। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং উপজেলা প্রকৌশলীকে বারবার অনুরোধ করা হলে শেষ পর্যায়ে রাস্তাটির কাজ শুরু হয়। রাস্তাটির কাজ শুরু হওয়া থেকে ঠিকাদারকে যত রকমের সহযোগিতা করা দরকার আমরা এলাকাবাসী তা করে যাচ্ছি। প্রথমদিকে কাজ সুন্দরভাবে শুরু করলেও শেষ পর্যায়ে এসে বালির জায়গায় পাহাড়ি মাটি দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।আমরা এলাকাবাসীরা একাধিকবার অভিযোগ জানালেও কোন সুরহা মেলেনি,ঠিকাদাররা আমাদেরকে বলেন পাহাড়ি মাটি দিয়ে রাস্তা করার উপরের নির্দেশ আছে। এটি পরীক্ষামূলকভাবে দেওয়া হচ্ছে, এলাকাবাসী আরো বলেন এভাবেই রাস্তার কাজ চললে অতি শীঘ্রই আমরা আরো বড় দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

ওই রাস্তার ঠিকাদার ইয়াকুব কনট্রাকটারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি প্রতিবেদককে এড়িয়ে চলেন।

৩ নং মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন খান সুমন বলেন, ওই এলাকার বাসিন্দারা আমাকে ফোন করে এরকম একটি অভিযোগ দিয়েছে।আমি ঠিকাদারের সাথে কথা বলেছি উনি বলেছেন আমি এগুলো উঠিয়ে বালি ফেলে দিয়েছি।চেয়ারম্যান বলেন আমার সময় স্বল্পতার কারণে ওইদিকে যাওয়া হয়নি।

এই বিষয়ে হাটহাজারী উপজেলার প্রকৌশলী জয়শ্রী দে প্রতিবেদককে বলেন, আমি আসলে এই বিষয়ে আগে অবগত ছিলাম না।আপনি যখন স্পট থেকে আমাকে ফোন দিয়ে বক্তব্যের জন্য বললেন তখন আমি অবগত হই।সাথে সাথে আমি ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।তিনদিন পর রাস্তা থেকে মাটিগুলো তোলে আবার কাজগুলো বালি দিয়ে শুরু করেছি।তারপরও আমি প্রতিদিন এই বিষয়টা নিয়ে খবরা-খবর রাখছি।


প্রকাশক কর্তৃক ৫৫/১ পুরানা পল্টন(৮ম তলা), ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং ১৬২/১ আরামবাগ গ্যালাক্সি প্রিন্টার্স থেকে মুদ্রিত।

Mobile : +88 01316 39 51 50 (News), +88 01816 19 58 12 (Ads)
E-mail : info.mediaexpressbd@gmail.com, info@mediaexpressbd.com

কপিরাইট © 2011-2023 Weekly Media Express
Design & Developed by Smart Framework